নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ বরিশাল-ভোলা ও মজুচৌধুরী হাট নৌরুটে সরকারী লিজকৃর্ত এসটি খিজির (৫) নৌযানকে সরকারী নৌরুট নিয়ম বিধি লঙ্ঘন করে অবৈধভাবে যাত্রী পরিবহন করার অনুমতি ও চলাচলের সুযোগ সৃষ্টি করে দেয়ার কারনে যাত্রীদের অভাবে নিয়মিত ব্যাক্তি মালিকানাধীন যাত্রী পরিবহন নৌ-যান লঞ্চ এমভি পারিজাত ও এমভি দোয়েল নামের লঞ্চ দুটি অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ সম্মুক্ষিণ হওয়ার কারনে যেকোন সময়ে যাত্রী পরবহন বন্ধ করে দেয়ার উপক্রম সৃষ্টি হয়েছে। এতে বরিশাল-ভোলা ও মজুচৌধুরী রুটের সাধারন যাত্রীদের চরম দূর্ভোগের শিকার হওয়ার আশংকা দেখা দিয়েছে। সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে জানা যায় বরিশাল নৌ-বন্দর থেকে যাত্রী নিয়ে ছেড়ে যাওয়া এমভি পারিজাত ভোলার ইলিশা ঘাটে যাত্রী নামিয়ে দিয়ে পুনরায় সকাল ৯.২৫মিনিটে মজুচৌধুরী উর্দ্দেশ্যে যাত্রী নিয়ে ছেড়ে যায়। একই মালিকের অপর লঞ্চ এমভি দোয়েল পাখি ভোলার ইলিশা ঘাট থেকে যাত্রী নিয়ে সকাল ১০.৩০ মিনিটে যাত্রী নিয়ে পুনরায় মজু চৌধুরী উর্দ্দেশ্যে ঘাট ত্যাগ করবে।
অপরদিকে সরকারী লীজকৃর্ত সম্পদ এস.টি খিজির বিআইডব্লিউটি’র রুট পারমিট নিয়ম অনুযায়ী তারা সকাল সাড়ে ১১ টায় যাত্রী নিয়ে ভোলার ইলিশা ঘাট ত্যাগ করার অনুমতি রয়েছে। এদিকে বেশ কিছুদিন যাবত এস.টি খিজির বিআইডব্লিউটি’র রুট পারমিট উপেক্ষা করে এবং বরিশাল থেকে ছেড়ে যাওয়া এমভি পারিজাত ঘাটে যাবার পূর্বেই ভোলার ইলিশা ঘাট থেকে যাত্রী নিয়ে সকাল পোনে নয়টার মধ্যে এসটি খিজির পল্টুন ত্যাগ করে চলে যায়। এভাবে এস.টি খিজির ইলিশা ঘাট নৌ ইন্সেপেক্টর জসিম উদ্দিন ও সাজাহানের সহযোগীতায় অবৈধভাবে যাত্রী পরিবহন করার কারনে পরবর্তী সময়ে এমভি পারিজাত ঘাটে পৌছে যাত্রী নামিয়ে দিয়ে পুনরায় যাত্রী নাপেয়ে মজু চৌধুরীর উর্দ্দেশ্যে ছেড়ে যাওয়ার কারনে তারা অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতি গ্রস্থ হচ্ছে এতে করে প্রতিদিন লোকসানের মুখে উক্ত লঞ্চ মালিক তাদের লঞ্চ চলাচলের ক্ষেত্রে একরকম বন্ধ করে দেয়ার মানুষিকভাবে চিন্তায় রয়েছে বলে লঞ্চের মাস্টার ও স্টার্পরা বলেন। বরিশাল নৌ-বন্দর পল্টুন এলাকার ঘাট পরিচালনাকারী কর্মকর্তারা বলেন যদি বরিশাল থেকে পারিজাত ও দোয়েল পাখি লঞ্চ দুটি চলাচল বন্ধ হয়ে যায় তাহলে এখানকার প্রতিদিন কয়েকশত যাত্রী যারা বরিশাল হয়ে ভোলা, লক্ষিপুর ও চট্রগ্রামে আসা-যাওয়া করে সেসকল যাত্রী সাধারনরা চরম দূর্ভোগে পড়তে হবে। একইভাবে বরিশাল নদী-বন্দর ঘাট পরিচালনাকারী ইজারাদাররাও আর্থিক ক্ষতিগ্রস্থের শিকার হতে হবে। এব্যাপারে বরিশাল নদী-বন্দর উপ-পরিচালক আজমল হুদা মিঠুর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন আগে এবিষয় আমাদের হাতে ছিল এখন তা ভোলা পোর্ট অফিসার দেখাশুনা করে থাকেন। তিনি আরো জানান এস.টি খিজিরের ব্যাপারে পূর্বেও নিয়ম সরকারী বিধি লঙ্ঘন করে চলাচল করার বহু অভিযোগ রয়েছে এবং তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার প্রক্রিয়া শুরুর আগেই আমাদের কাছ থেকে দপ্তর পরিবর্তন হয়েছে।
এব্যাপারে ভোলা পোর্ট অফিসার (অতিরিক্ত) পরিচালক কামরুজ্জামানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বিষয়টি সত্যতা স্বীকার করে বলেন আমি বর্তমান করোনা পরিস্থিতির কারনে এস.টি খিজির চলাচলের অনুমতি দিয়েছি। এর কারন হিসাবে তিনি বলেন ভোলার ইলিশা ঘাট থেকে প্রচুর মানুষ মজুচৌধুরী রুটে চলাচল করে এবং তারা সকাল ৬টার মধ্যে পল্টুনে ভীড় জমায় একারনেই যাত্রীদের শারীরিক দুরুত্বতা বজায় রাখতে আমি খিজির ছাড়ার অনুমতি দিয়েছি। তবে এর পূবেই এমভি পারিজাত ও দোয়েল পাখি লঞ্চ কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করেছেন বলেন তিনি দাবী করেন। এবিষয় পরিজাত ও দোয়েল পাখি লঞ্চ কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান ভোলার পোর্ট অফিসার কামরুজ্জামানের সাথে আমাদের কোন কথা বার্তা হয় নাই। তাছাড়া রুট পারমিট প্রদান করে ঢাকা থেকে পোর্ট অফিসার এককভাবে বিআইডব্লিইটি’র নিয়ম ভেঙ্গে অন্য কোন লঞ্চ চলাচলের অনুমতি দিতে পারেন না। আমরা যতটুকু জানি তিনি এস.টি খিজির কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে দৈনিক একটি বিশাল মোটা অংকের অর্থের চুক্তির বিনিময়ে সকাল সাড়ে ১১ টার সময়ে ছাড়াল লঞ্চ সকাল পোনে ৯ টায় ছাড়ার অনুমতি দিয়ে আমাদের দীর্ঘদিনের নিয়মিত চলাচলের রুটের লঞ্চেল আর্থিক ক্শতিগ্রস্থ করেছে অন্যদিকে তিনি সরকারী একজন কর্মকর্তা হয়ে তাদের কেন্দ্রীয় আইন ভেঙ্গে অণ্য লঞ্চ চলাচলের অনুমতি দিতে পারেন না। এটা সম্পূর্ণ অবৈধ আমরা চাই যাত্রীদের সুবিধার্তে পূর্বে যে যার চলাচলের বিধান রয়েছে সেভাবে চলাচলের ব্যবস্থা করবেন ।
Leave a Reply